Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বহুভাষিক উৎসব ২০২৫ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কক্সবাজারে শুরু হলো ২ দিনব্যাপী “২১ জাতিগোষ্ঠী বিচ ফেস্টিভ্যাল”


প্রকাশন তারিখ : 2025-02-23

বহুভাষিক উৎসব ২০২৫

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে

কক্সবাজারে শুরু হলো ২ দিনব্যাপী “২১ জাতিগোষ্ঠী বিচ ফেস্টিভ্যাল”

 

“বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জনগণের মাঝে জনবান্ধব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে চাই। কক্সবাজার আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষ আসেন পর্যটনের জন্য। তার সাথে আমাদের পাহাড় সংলগ্ন স্থান।”

                                                       ---- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেল এর ব্যবস্থাপনায় আজ থেকে কক্সবাজারে শুরু হলো ২ দিনব্যাপী ‘২১ জাতিগোষ্ঠী বিচ ফেস্টিভ্যাল’। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি এবং আগামী 22 ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে ‘২১ জাতিগোষ্ঠী বিচ ফেস্টিভ্যাল’ চলবে। 

 

আজকের উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্‌উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেল-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম শামীম আকতার।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন - “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জনগণের মাঝে জনবান্ধব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে চাই। কক্সবাজার আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষ আসেন পর্যটনের জন্য।  তার সাথে আমাদের পাহাড় সংলগ্ন স্থান। কাজেই এই জায়গায় আমরা যদি এমন কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপন করতে পারি যাতে বাংলাদেশের মানুষ এতদিন যে কঠিন সময় পার করছে, সেই সময় নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করতে পারি তাদের মাথায় তাহলে আমাদের কার্যক্রম স্বার্থক হবে।”

 

আলোচনা পর্ব শেষে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরবেশনা শুরু হয়। প্রথমেই বিভিন্ন ভাষায় ‘একুশের গান’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটি। এরপর ‘মারমা পাখা নৃত্য’, ‘বম জীবন ধারা নৃত্য’ এবং ‘সংগীত’ পরিবেশিত হয়। পরিবেশনার এ পর্যায়ে পরিবেশিত হয় ‘খুমি মাছ ধরা নৃত্য’, ‘ময়ূর নৃত্য’ এবং ‘সংগীত’। এরপর ‘চাকমা গান’, ‘তঞ্চঙ্গা নৃত্য’ এবং ‘ম্রো জুম নৃত্য’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। আবারও পরিবেশিত হয় ‘ত্রিপুরা গান’ এবং ‘চাকমা প্রদীপ নৃত্য’। এরপর পরিবেশিত হয় ‘লুসাই বাঁশ নৃত্য’, ‘সংগীত ও সম্প্রীতি নৃত্য। 

 

এরপর ‘দেশাত্ববোধক গান’ (মাহালী সাওতালী পাহাড়িয়া) পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমতলের শিল্পীদের পরিবেশনা শুরু হয়। তারপর ‘দাসাই নৃত্য’ (সাওতালী), ‘পাহাড়িয়া নৃত্য’ এবং ‘কমেডি’ পরিবেশিত হয়। পরিবেশনার এ পর্যায়ে ‘ওরাও নৃত্য’ এবং ‘মাহালী নৃত্য’ পরিবেশন করে শিল্পীবৃন্দ। সবশেষে ‘মণিপুরী মৃদঙ্গ নৃত্য’ ও ‘মণিপুরী রাস নৃত্য’ পরিবেশিত হয়।

 

দুই দিনব্যাপী ‘২১ জাতিগোষ্ঠী বিচ ফেস্টিভ্যাল’-এ অংশগ্রহণ করছে চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বম, খেয়াং, চাক, পাংখোয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, মনিপুরী, বাংগালী, সাঁওতাল, মাহালী, ওরাওঁ, মালপাহাড়িয়া, গারো, হাজং, কোচ, রাখাইন প্রভৃতি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের বাঙালি শিল্পীবৃন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মূল প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বাংলা ভাষাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষাকেও শ্রদ্ধা জানাতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ভাষাভাষীর ২১ টি জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পরিবেশিত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে।