বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত
‘ভাষাযোগ : ছাপচিত্রে ভাষা প্রকাশের উদযাপন’ শীর্ষক কর্মশালা শেষ হলো
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগ-এর আয়োজনে এবং শূন্য আর্ট স্পেস ও চলন্তিকা ট্রাভেলিং স্টুডিও এর সহযোগিতায় ৯ দিনব্যাপী ‘ভাষাযোগ-ছাপচিত্রে ভাষা প্রকাশের উদযাপন’ শীর্ষক কর্মশালা শেষ হলো। আজ ২১ জুন ২০২৫, শনিবার, বিকাল ৫:৩০ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় সমাপনী দিনের সংগীতানুষ্ঠান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্মশালার পরিচালক জাফর ইকবাল।
১৩-২১ জুন 2025 তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় ‘ভাষাযোগ : ছাপচিত্রে ভাষা প্রকাশের উদযাপন’ শীর্ষক কর্মশালা প্রতিদিন ৪টি সেশনে অনুষ্ঠিত হয়। ৯ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রতিদিন প্রতিটি সেশনে ২০ জন করে প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ‘ভাষাযোগ: ছাপচিত্রে ভাষা প্রকাশের উদযাপন’ শীর্ষক কর্মশালা দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত হবে। প্রথম পর্যায়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর, নেত্রকোনোর বিরিশিরি, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, সিলেট, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলায় আয়োজন করা হবে। যেখানে থাকবে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে ছাপচিত্র।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ভাষা, উপভাষা ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে চিত্র ও লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করবেন এবং তা পরিণত হবে একটি সম্মিলিত শিল্পকর্মে। এই কর্মশালার মাধ্যমে সারাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া শিল্পভিত্তিক উদ্যোগ, ভাষার বৈচিত্র্য, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে ছাপচিত্রের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে। এই আয়োজনটি সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যেখানে ব্যক্তি তার নিজস্ব ভাষা ও পরিচয়কে তুলে ধরার সুযোগ পায় মুদ্রণচিত্রের মাধ্যমে। ভাষাযোগ শুধুমাত্র একটি শিল্প অনুষ্ঠান নয়-এটি আমাদের ভাষাগত ঐতিহ্যের সম্মিলিত উদযাপন। যেখানে অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন কণ্ঠস্বর হারিয়ে যায়, সেখানে এ ধরণের আয়োজন শিল্পকে সংযোগের সেতু হিসেবে দাঁড় করাবে। এই অনুষ্ঠানের বিশেষ দিক হলো চলন্তিকা ট্রাভেলিং স্টুডিওর তত্ত্বাবধানে মোবাইল ছাপচিত্র কর্মশালা আয়োজন। পেশাদার শিল্পী ও শিক্ষকগণের সহযোগিতায় সহযোগিতামূলক শিল্প সেশন আয়োজন। বিভিন্ন স্থানে পাবলিক প্রদর্শনীর আয়োজন, ভাষা ও অভিব্যক্তি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং জনগণের অংশগ্রহণে তা বাস্তবায়ন করা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কণ্ঠ ও ভাষার বহুমাত্রিকতা ছাপচিত্রের সাহায্যে সংরক্ষণ ও তুলে ধরার পাশাপাশি শিল্প ও মননের একটি সুস্থ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।