বহুভাষিক উৎসব ২০২৫

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে

আগামীকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নানান কর্মসূচি পালিত হবে

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি ২০২৫ জুড়ে চলছে ‘বহুভাষিক উৎসব’। সারাদেশে, বিভাগ, জেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নানান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মাসব্যাপী আয়োজনের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ, প্রথম মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসব, অমর একুশে নাট্যোৎসব, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নাট্য উৎসব, বহুভাষিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ২১ জাতিগোষ্ঠী বিচ ফেস্টিভ্যাল, মনীষী স্মরণ অনুষ্ঠান, কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে আলোকচিত্র কর্মশালা এবং শাস্ত্রীয় সংগীত ও শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসবসহ নানান বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা।

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে “একুশের নিবেদন”। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী বেলাল চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। 

অনুষ্ঠানে শুরুতে সমবেত যন্ত্রসংগীত ‘দেশমাতৃকা’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্র শিল্পীবৃন্দ। এরপর সমবেত নৃত্য ‘দাম দিয়ে কেনিছি বাংলা’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীবৃন্দ। নৃত্য পরিচালনায় লায়লা ইয়াসমিন লাবণ্য। ‘কথা কবিতা গানের সুর’ ও ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’ গান দুটি পরিবেশন করবেন আলম আরা মিনু। এরপর আবৃত্তি ‘পানি লাগবে পানি/আবু সাঈদ’ পরিবেশন করবেন এবিএম সোহেল রশিদ। বিদেশী শিল্পীরা পরিবেশন করবেন নেপালী নৃত্য। কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় সমবেত নৃত্য ‘গান ও কবিতা’ পরিবেশন করবে, নৃত্য পরিচালনায় সাজু আহমেদ। আবারো সমবেত নৃত্য ‘মারমা উৎসব নৃত্য’ পরিবেশন করবে কালারস অফ হিল, নৃত্য পরিচালনায় অন্তর দেওয়ান এবং সমবেত নৃত্য ‘রক্ত শিমুল তপ্ত পলাশ’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ ব্যালেট ট্রুপ, নৃত্য পরিচালনায় আমানুল হক। এরপর একক সংগীত ‘বাংলা ভাষা আমার মায়ের ভাষা’ এবং ‘আমার স্বদেশ প্রিয় আমার বাংলা’ পরিবেশন করবেন আশরাফ শাহীন। সমবেত সংগীত ‘সে দিন শহরে বারুদের মত এবং ৮ই ফাল্গুনের কথা’ পরিবেশন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর সমবেত নৃত্য ‘একুশ আমার মিছিল’ পরিবেশন করবে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সমবেত নৃত্য ‘রাশিয়ার ফোক ডান্স পর পরান’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীবৃন্দ, নৃত্য পরিচালনায় এস কে জাহিদ। সমবেত নৃত্য ‘বাংলার গান গাই এবং ওরা আমার মুখের ভাষা’ পরিবেশন করবে স্বাত্ত্বিক শিল্পাশ্রম এবং সমবেত নৃত্য ‘রাখাইন প্রদীপ নৃত্য’ পরিবেশন করবে ত্রিপনা রাঙ্গামাটি। আবৃত্তি ‘বরকত-রফিক-শফিউর-জব্বার’ পরিবেশন করবেন শাহনাজ পারভীন লিপি এবং একক সংগীত ‘মৌলিক গান’ পরিবেশন করবেন সাইদা শম্পা। তারপর সমবেত সংগীত ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা এবং মোরা ঝঞ্জার মত উদ্দাম’ পরিবেশন করবে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর বিদেশী শিল্পীদের পরিবেশনায় চায়না ‘মার্শাল আর্ট’ পরিবেশিত হবে। আদিবাসী নৃত্য ‘মারমা সাংগ্রাই নৃত্য’ পরিবেশন করবে ত্রিপনা রাঙ্গামাটি। সবশেষে সমবেত সংগীত ‘মোদের গরব মোদের আশা, ওরা আমার মুখের ভাষা, রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন, আমার প্রাণের ভাষা, মাগো তোমার সোনা মানিক এবং জাগো নাগিনীরা জাগো’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কন্ঠশিল্পীবৃন্দ।