Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd জুন ২০২৫

পর্দা নামলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এর


প্রকাশন তারিখ : 2025-06-02

পর্দা নামলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী

‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এর

 

“আমরা খুব শীঘ্রই পঞ্চম বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব আরো বড় পরিসরে আয়োজন করবো এবং সেখানে হয়তো আমরা চলচ্চিত্রের আরো বিভিন্ন প্লাটফর্মগুলো রাখবো।”

                       --- মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন, সচিব ও  মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি

 

 

পর্দা নামলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এর। ৩১ মে ২০২৫, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহীন দিল-রিয়াজ। এতে উৎসব পরিচালকের বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির এবং উৎসব সমন্বয়ক হিসেবে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক (প্রোগ্রাম প্রডাকশন, সিনেমাটোগ্রাফি) মোঃ ইকরামুল ইসলাম।

 

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন, “আমাদের চলচ্চিত্র আহ্বানের প্রেক্ষিতে সারাদেশ থেকে ৩00টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এটি আমাদের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক। আমরা যে চলচ্চিত্রে পিছিয়ে নেই, চলচ্চিত্রেও এগিয়ে যাচ্ছি এটি তারই প্রমাণ। ৩00টি চলচ্চিত্র থেকে আমাদের সিলেকশন কমিটি বাছাই করে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য সিলেক্ট করে। আসলে সবগুলো সিনেমাই অনেক ভালো মানের ছিল। একটি সিনেমা থেকে আরেকটি সিনেমার পার্থক্য খুব বেশি নয়। তারপরও সেখান থেকে বাছাই করে প্রদর্শনযোগ্য সিনেমাগুলো বেছে আনা এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল বলে আমি মনে করি। আমি তার জন্য আমাদের সিলেকশন কমিটির সম্মানিত সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ”

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, “আমাদের সিলেকশন কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং আমি খুবই আপ্লুত যে ঢাকাসহ একযোগে ৮টি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হয়েছে। দর্শকরা খুবই আগ্রহ নিয়ে আগ্রহ নিয়ে চলচ্চিত্রগুলো দেখেছেন। বিভাগীয় শহরগুলোতে খোঁজ নিয়ে সেখানকার দর্শকদের যে চাহিদা এবং আন্দন্দের বহিঃপ্রকাশ সেটা আমি জেনেছি। যারা এতো কষ্ট করে চলচ্চিত্রগুলো বানিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা মাত্র চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করেছি। আমরা খুব শীঘ্রই পঞ্চম বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব আরো বড় পরিসরে আয়োজন করবো এবং সেখানে হয়তো আমরা চলচ্চিত্রের আরো বিভিন্ন প্লাটফর্মগুলো রাখবো। যারা পুরস্কৃত হবেন তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই এবং যারা পুরস্কৃত হবেন না তাদেরকেও আমরা আগামীতে আরো ভালো পরিসরে দেখতে চাই এবং আমরা চলচ্চিত্রকে বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যেতে চাই।”

 

‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এর প্রদর্শিত চলচ্চিত্র থেকে জুরি কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (কাহিনীচিত্র) পুরস্কার পায় ‘ফুলেরা পোষাক পরেনা’, পরিচালক- আসিফ ইউ হামিদ। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (কাহিনীচিত্র) পুরস্কার পান সালমা সুলতানা আশা, চলচ্চিত্র- ‘সাইলেন্স ইন দ্য ক্যাওয়াস’ এবং বিশেষ জুরি (কাহিনীচিত্র) পুরস্কার পায় ‘দাঁড়কাক’, পরিচালক- জায়েদ সিদ্দিকী। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রামাণ্যচিত্র) পুরস্কার পায় ‘ওয়েটিং ফর সিনেমা’, পরিচালক- সাঈদী হাসান রাব্বি। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (প্রামাণ্যচিত্র) পুরস্কার পান সাঈদী হাসান রাব্বি, চলচ্চিত্র- ‘ওয়েটিং ফর সিনেমা’। বিশেষ জুরি (প্রামাণ্যচিত্র) পুরস্কার পায় ‘দ্য স্ক্র্যাপ’, পরিচালক- মাসউদুর রহমান। এছাড়া উভয় ক্যাটাগরি থেকে সার্বিকভাবে ৪টি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক পুরস্কার পান সাদেকুল ইসলাম জুবায়ের বিল্লাল হোসেন, চলচ্চিত্র- সাইলেন্স ইন দ্য ক্যাওয়াস। শ্রেষ্ঠ সম্পাদকের পুরস্কার পান মো. আজহারুল হক, চলচ্চিত্র- ঘরে ফেরা। শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পকের পুরস্কার পান আহসান আল মিরাজ, চলচ্চিত্র-নেকলেস এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পকের পুরস্কার পান নাজমুল মুহাম্মদ, চলচ্চিত্র-নেকলেস। পুরস্কার এর অর্থ মূল্য হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১ লক্ষ  ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা ১ লক্ষ টাকা এবং বিশেষ জুরি হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। বিশেষ পুরস্কার এর অর্থ মূল্য হিসেবে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদানা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা হিসেবে প্রতিটির জন্য ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের নির্মাতাগণকে প্রদর্শনী সার্টিফিকেটসহ উৎসব স্মারক প্রদান করা হয়।

 

সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনায় ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ।

 

চলচ্চিত্র শিল্পের প্রসার, বিকাশ এবং মানসম্মত দেশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রক্ষেপন এবং অনুধাবন করাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে উক্ত উৎসবের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করাই এ উৎসবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল। ৮টি বিভাগীয় শহরে একযোগে ২৭ মে থেকে ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত ০৫ (পাঁচ) দিনব্যাপী ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এ ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। যার মধ্যে ৬০টি ফিকশন এবং ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র।