Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ মে ২০২৫

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিসহ ৬টি জেলায় অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক উৎসব


প্রকাশন তারিখ : 2025-05-14

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিসহ ৬টি জেলায় অনুষ্ঠিত হলো

সাংস্কৃতিক উৎসব

 

“ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থাকতে পারে একটা দেশে, নানান ধর্মের মানুষ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা প্রত্যেকে মিলেই বাংলাদেশ।”

                                                  --- মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, মাননীয় উপদেষ্টা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের

 

 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঢাকাসহ ৬টি জেলায় বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৫ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’। আজ ১০ মে ২০২৫ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকাসহ ৬ টি জেলায় একযোগে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি। এ বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা ১১ মে হলেও অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় বুদ্ধ পূর্ণিমার আগের দিন ।

 

১০ মে ২০২৫, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৫ উপলক্ষ্যে ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বিশ্ব বৌদ্ধ ফেডারেশন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ড. সুকোমল বড়ুয়া। এতে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো এর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার প্রচার সচিব ভদন্ত মেডিটেটর এস্ শাসনবংশ মহাথেরো এবং বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ রাঙ্গুনিয়া শাখা চট্টগ্রামের সভাপতি ভদন্ত জ্ঞানবংশ মহাথেরো। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আপনারা গত কয়েক মাস যদি আমাদের কার্যক্রম দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আমরা চেষ্টা করছি সেটা হচ্ছে- ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থাকতে পারে একটা দেশে, নানান ধর্মের মানুষ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা প্রত্যেকে মিলেই বাংলাদেশ। একজনকে ছাড়া আরেকজনকে নিয়ে বাংলাদেশটা সম্পন্ন হবে না। প্রত্যেকের যে অন্তর্ভূক্তি সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। এটা আপনারা এবারের নববর্ষের উৎসবে দেখেছেন বাঙালির পাশাপাশি চাকমা, মারমা, গারো, রাখাইনসহ অনেক জাতিগোষ্ঠী সেখানে সম্পৃক্ত ছিল। আমরা চাঁদরাত উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান করেছি, সেটা ছিল ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠান। এবারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হলো। সামনে আমরা অন্যান্য ধর্মের যারা আছেন তাদের সবাইকে নিয়েও আয়োজন করব। তারা যেন সম্পৃক্ততা অনুভব করে। তারা যেন মনে করে এই জায়গাটা সবার এবং রাষ্ট্র আসলে সবার। ”

 

সাংস্কৃতিক পর্বে পরমেশ বড়ুয়ার পরিচালনায় মানবতাবাদী সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন ধর্মরাজিক ললিতকলা একাডেমি, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা-এর শিল্পীবৃন্দ এবং অন্তর দেওয়ান-এর পরিচালনায় বৌদ্ধ শিল্পীবৃন্দ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সায়ন। সবশেষে সংগীত পরিবেশন করেন  ডিফারেন্ট টাচ্ ব্যান্ড। অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত একটি প্রমো দেখানো হয়।  

 

চট্টগ্রামের শিরীষ তলা সি আর বি-তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত কন্ঠে মানবতাবাদী সংগীত ও নৃত্য। এরপর সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ম্যাট্রিক্যাল ব্যান্ড। সবেশেষে মঞ্চ উঠেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।

 

কক্সবাজারের রামু উপজেলার খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  মন্ত্রীপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতে ছিল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত কন্ঠে মানবতাবাদী সংগীত ও নৃত্য। এরপর সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। একক সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী পারভেজ। সবশেষে মঞ্চ উঠেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী মিলা।

 

বান্দরবান রাজার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, পিপিএম (বার) এবং বারন্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত কন্ঠে মানবতাবাদী সংগীত ও নৃত্য। এরপর সংগীত পরিবেশন করে স্থানীয় জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এবং বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী নোলক বাবু।

 

রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ মাঠে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এবং রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কোর্স কো-অর্ডিনেটর বেগম কামরুননাহার। সংগীত পরবিশেন করেন জিকু মারমা ও তার দল। একক সংগীত পরিবেশন করেন রাফি তালুকদার। সবশেষে মঞ্চে উঠেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা শিল্পী বিউটি ও তার দল।

 

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির  জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ও খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশেন করেন অরণ্য ব্যান্ড, শান্তি দবেনাথ ও তার দল। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী  রূপসা। সবশেষে মঞ্চে উঠেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা শিল্পী রাজিব।