বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে
শুরু হলো ৪ দিনব্যাপী ‘শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব’
“উচ্চাঙ্গ নৃত্য ও সংগীতকে কখনই অবহেলা করা যাবে না। আগামী বছর থেকে আমরা প্রতিমাসে অন্তত ২ দিন করে এ উৎসব আয়োজন করতে চাই।”
---- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য চর্চাকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী ‘শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব’। সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজনে পরিবেশিত হয়েছে শাস্ত্রীয় বিভিন্ন ধারার রাগ।
জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহ্জাবীন রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন - “উচ্চাঙ্গ নৃত্য ও সংগীতকে কখনই অবহেলা করা যাবে না। আগামী বছর থেকে আমরা প্রতিমাসে অন্তত ২ দিন করে এ উৎসব আয়োজন করতে চাই। আপনাদের তরুণদের প্রেরণা দিতে চাই। ভারত পারলে আমরা কেনো পারবোনা, আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চাটা কম হয়।”
তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তি আছে। আমরা ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক এবং ক্ল্যাসিক্যাল ড্যান্স জানি এটা দিয়ে আমরা নিজস্ব ঘরানা তৈরি করবো। আমরা আপনাদের আহ্বান জানাই বাংলাদেশ যেনো একটা শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যে পীঠস্থানে পরিণত হতে পারে।”
আলোচনা পর্ব শেষে উদ্বোধনী সমবেত নৃত্য ‘শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা’ পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন স্নাতা শাহরীন। একক সংগীত ‘ঠুমরি রাগ দেশ’ পরিবেশন করেন কাব্যশ্রী রায় চৌধুরী এবং সমবেত নৃত্য ‘পল্লবী (ওড্যিস্যি)’ পরিবেশন করে নৃত্যছন্দ। এরপর একক নৃত্য ‘দেবী স্তুতি (ভরতনাট্যম)’ পরিবেশন করেন বৃষ্টি বেপারী এবং একক সংগীত ‘ধ্রুপদ’ পরিবেশন করেন অভিজিৎ কুন্ড। একক নৃত্য ‘শুদ্ধ নৃত্য (কত্থক)’ পরিবেশন করেন জুবায়ের হোসেন নাইম এবং একক নৃত্য ‘জাভেলী’ পরিবেশন করেন প্রিয়াংকা সরকার। পরবেশনার এ পর্যায়ে একক সংগীত পরিবেশন করেন আলী এফ এম রেজোয়ান এবং একক নৃত্য ‘শিব বন্দনা (মনিপুরি)’ পরিবেশন করেন ওর্য়াদা রিহাব। সমবেত নৃত্য ‘ঋতু বসন্ত ও তারানা (কত্থক)’ পরিবেশন করে রেওয়াজ পারফমার্স স্কুল, একক সংগীত ‘রাগ-বেহাগ’ পরিবেশন করেন অনিল কুমার সাহা এবং একক নৃত্য ‘শিব স্তুতি (মনিপুরি)’ পরিবেশন করেন অর্পনা নিশি। এরপর মনিরা পারভীন একক নৃত্য ‘(কত্থক)’, শেখর মন্ডল একক সংগীত ‘রাগ- বসন্ত’ এবং স্নাতা শাহরীন একক নৃত্য ‘(কত্থক) পরিবেশন করেন। সবশেষে সমবেত নৃত্য ‘পুষ্পাঞ্জলি (ভরতনাট্যম)’ পরিবেশন করে কল্পতরু ।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুরুতে সমবেত নৃত্য ‘মনিপুরি’ পরিবেশন করবে একাডেমি ফর মনিপুরি কালচারাল এন্ড আর্টস, সিলেট, একক সংগীত ‘ধ্রুপদ’ পরিবেশন করবেন সৌমিতা বোস এবং একক নৃত্য ‘ভরতনাট্যম’ পরিবেশন করবেন পূজা বৈষ্ণব। মন্দিরা চৌধুরী একক নৃত্য ‘কত্থক’, স্বরাজ সাহা একক সংগীত ‘রাগ-পূরবী’ এবং সামিনা হোসেন একক নৃত্য ‘মনিপুরি’ পরিবেশন করবেন। এরপর একক নৃত্য ‘কত্থক’ পরিবেশন করবেন সুমাইয়া ইসলাম, একক সংগীত পরিবেশন করবেন বিটু কুমার শীল এবং একক নৃত্য ‘মনিপুরি’ পরিবেশন করবেন বাবরুল আলম চৌধুরী। সমবেত নৃত্য ‘কত্থক’ পরিবেশন করবেন মাসুম হোসাইন, একক সংগীত ‘রাগ-মধুবন্তী’ পরিবেশন করবেন করিম শাহাবুদ্দিন এবং একক নৃত্য ‘ওড্যিস্যি’ পরিবেশন করবেন তাজিম চাকমা। আবারও একক সংগীত ‘রাগ-বসন্ত’ পরিবেশন করবেন মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া এবং একক সংগীত ‘ভরতনাট্যম’ পরিবেশন করবেন গোলাম মোস্তফা ববি। সবশেষে সমবেত নৃত্য ‘কত্থক’ পরিবেশন করবেন কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়।
আগামী ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, প্রতিদিন বিকাল ৫:০০ টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।