বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে
অনুষ্ঠিত হলো জাদু প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও জাদু উৎসব ২০২৫
“বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতির সকল অঙ্গণে বিচরণ করে, সকল অঙ্গণকে সকল শাখাকে লালন করে। আমরা চাইনা সংস্কৃতির কোনো অংশ পিছিয়ে থাকুক। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নানানভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
--- মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন, সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও প্রশিক্ষণ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২ দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে আজ ২৯ মে ২০২৫ সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আয়োজন করা হয় জাদু উৎসব ২০২৫।
জাদু উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রশিক্ষণ বিভাগের কোর্স কো-অর্ডিনেটর বেগম কামরুন নাহার। বক্তব্য প্রদান করেন নন্দিত জাদুশিল্পী ও কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক শাহীন শাহ্।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতির সকল অঙ্গণে বিচরণ করে, সকল অঙ্গণকে সকল শাখাকে লালন করে। আমরা চাইনা সংস্কৃতির কোনো অংশ পিছিয়ে থাকুক। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নানানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নানারকম উৎসব, অনুষ্ঠান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই জাদু শিল্পের প্রশিক্ষণ। জাদু শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বা ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প মাধ্যম। যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, দেশের বাইরেও বাংলাদেশের জাদু শিল্পের ব্যাপক প্রসার ও সুনাম রয়েছে।”
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত জাদু শিল্প সম্পর্কে বলেন, ‘জাদু শিল্পের বা শিল্পীদের একটা সম্মোহনী ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতা কিন্তু দর্শকদের বিমুগ্ধ করে রাখে। দর্শক যত ধরণের প্রোগ্রামে মনযোগ ধরে রাখে তার মধ্যে যখন কোনো জাদু শিল্পী জাদু প্রদর্শন করে থাকে তখন সবচেয়ে বেশি মনযোগ ধরে রাখে। তাদের চোখের পলক পড়ে না। এমন অনেক পরিবেশনা আছে যেগুলো দেখলে দর্শকরা চোখের পলক ফেলতে চায় না। সতরাং এই যে এমন একটি শিল্প মাধ্যম সেই শিল্প মাধ্যমের প্রসারে নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কাজ করবে। এ ধরণের প্রশিক্ষণ ও উৎসবকে ভবিষ্যতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও প্রসারিত করা হবে।”
আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ উৎসেব অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। এরপর শুরু হয় নির্বাচিত জাদুশিল্পীদের মনোমুগ্ধকর জাদু প্রদর্শন। দর্শকরা উপভোগ করেন চমকপ্রদ পারফরম্যান্স, চোখ ধাঁধানো ট্রিকস ও মঞ্চভিত্তিক নানান প্রদর্শনী।
এর পূর্বে ২৮ ও ২৯ মে ২০২৫ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত জাদু প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালা ও উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় জাদু শিল্পকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং জাদুশিল্পীদের মাঝে একটি সৃজনশীল মঞ্চ তৈরি করা যেখানে তারা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন। জাদু কর্মশালায় মোট ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন স্বনামধন্য জাদুশিল্পী শাহীন শাহ্ (প্রধান প্রশিক্ষক), তপু মনোয়ার, সাদাত মামুন, মো: বাসেদ ও মৃন্ময় মিজান। আধুনিক ও প্রাচীন জাদুর বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয় এই কর্মশালায়।