আগামীকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হবে
নাট্য প্রযোজনা ‘দ্রোহের রক্ত কদম’
মনসুন রেভ্যুলেশনের স্পিরিটকে উপজীব্য করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে নতুন নতুন নাট্যপ্রযোজনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ০৪ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে প্রতীকধর্মী ও প্রতিবাদী নাট্য প্রযোজনা ‘দ্রোহের রক্ত কদম’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। নাট্য প্রযোজনাটি পরিবেশন করবে চট্টগ্রামের নাট্য সংগঠন ‘এথেরা: অব্যক্ত প্রতিধ্বনি’। নাটকটির নির্দেশনা ও নাট্য ভাবনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইরা আহমেদ।
“দ্রোহের রক্ত কদম”কেবল একটি নাটক নয়, প্রযোজনাটি প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার একটি রূপ তুলে ধরবে। যেখানে রাষ্ট্র ও সমাজের অন্তর্নিহিত অসাম্য, বিশৃঙ্খলা, দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মানুষের মধ্যেকার এক বিকৃত প্রতিযোগিতাকে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে সংলাপের চেয়ে অধিকতর বলিষ্ঠ এক মাধ্যম শরীরের ভাষা। এখানে সংলাপ নয়, দেহ কথা বলে। প্রতিটি ভঙ্গিমা, প্রতিটি নৈঃশব্দ্য একেকটি হাহাকার। রাষ্ট্রযন্ত্র যখন তার শক্তির বলয় দিয়ে জনগণের কণ্ঠরোধ করে, শাসকের দমননীতি যখন মানুষের স্বপ্ন, বাকস্বাধীনতা ও ন্যায্যতার পথ রুদ্ধ করে তখনই মানুষের ভেতরে পুঞ্জীভূত হতে থাকে ক্ষোভ। জেগে ওঠে এক অন্তর্লীনদ্রোহ। এছাড়াও এ নাটকে মানুষের মধ্যেকার এক অন্তর্দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তুলা হয়েছে, যেখানে একজনকে বাধা দিয়ে নিজে উপরে উঠার অসুস্থ ব্যাধি এ সমাজে প্রথা হিসেবে প্রচলিত আছে।
“দ্রোহের রক্ত কদম” নাটকের সহকারী নির্দেশনায় রয়েছেন বিশ্বনাথ ভৌমিক। নাটকের আলোক পরিকল্পক হিসেবে রয়েছেন আসলাম উদ্দিন, মঞ্চ ও সংগীত পরিকল্পক হিসেবে রয়েছেন ইন্দ্র জিৎ শীল। কলাকুশলী হিসেবে রয়েছেন রাসিফ বিন ফাহিম, জেরিন আকতার নোশ্নি, সুমাইয়া তাবাসসুম, মোঃ মাহামুদুল ইসলাম বাঁধন, মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, পার্থ সেন, মোঃ শাহ্রিয়া শাকিল, ফাইরুয সাদেক, তানজীলা আক্তার এবং মোঃ মেহেদী হাসান সাদী।
নাট্য প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।